Home / আইসিটি / বিজয় কী-বোর্ড পরিচিতি ও ব্যবহার

বিজয় কী-বোর্ড পরিচিতি ও ব্যবহার

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শীটের সাথে আমরা একটি বাংলা কী-বোর্ডের লে-আউটসহ প্রতিটি বর্ণমালার (কমান্ড সংযুক্ত) ছক প্রদান করেছি তাতে কোন্ বোতামে কোন্ বাংলা হরফ রয়েছে তা ইংরেজীর পাশাপাশি মুদ্রিত রয়েছে।

বিজয় কীবোর্ড কিভাবে সেট করবেন ?

বিজয় কীবোর্ড ইন্সটল দেয়ার পর এটিকে ব্যবহারের জন্য সেট করা প্রয়োজন। বিজয় কীবোর্ড এর মাধ্যমে লেখার জন্য আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমে বাংলা ফন্ট সেট করতে হবে এবং বাংলা লেখার সফটওয়্যার চালু করতে হবে ।এ দুটি কাজের মধ্যে কোন একটি কাজ না করলে বাংলা লেখা যাবে না।

বাংলা লেখার সফটওয়্যার চালু করার জন্য কীবোর্ডে প্রেস করুন Ctrl+Alt চাপ দিয়ে ধরে B চাপ দিতে হবে, এখন আপনার কীবোর্ডটি বাংলা লেখার জন্য সেট হয়ে গেছে। সাধারনত  SutonnyMJ ফন্টটি বিজয়ে লেখার জন্য বেশি ব্যবহার হয় । যদি আপনার ফন্ট সেটআপটি ঠিক থাকে তাহরে বাংলা বর্ণমালার প্রথম বর্ণটি আসবে, অর্থাৎ অ আসবে ।

যদি বাংলা থেকে পুনরায় ইংরেজী ফন্টে আসতে চান, তাহলে আবার Ctrl+Alt+B প্রেস করুন এবং ফন্টকে পরিবর্তন করতে যেকোন একটি ইংরেজী ফন্ট যেমন (Times New Roman/Calibri) সেট করুন । তাহলে আপনি পুনরায় ইংরেজী টাইপ করতে পারবেন।

বাংলা কী-বোর্ডের লে-আউটসহ প্রতিটি বর্ণমালার
বিজয় কী-বোর্ডে প্রতিটি বোতামে দুটি করে বাংলা অক্ষর আছে। শিফট (Shift) বোতাম চেপে কোন বোতামে চাপ দিলে ঐ বোতামের উপরের বাংলা অক্ষর এবং শিফট (Shift) বোতাম না চেপে কোন্ বোতামে চাপ দিলে ঐ বোতামের নিচের বাংলা অক্ষর পাওয়া যায়।
বিজয় কী-বোর্ড -এ ‘অ’ এবং ‘ও’ ছাড়া অন্য কোন স্বরবর্ণ নেই। আপনি যদি সেসব স্বরবর্ণ ব্যবহার করতে চান তবে প্রথমে এ (কী-বোর্ডে সংযুক্তি বা হসন্ত মুদ্রিত থাকবে) টাইপ করবেন এবং এরপর সংশ্লিষ্ট স্বরচিহ্ন টাইপ করবেন।
বাংলায় যুক্তাক্ষর তৈরির জন্য ইংরেজী (G) বোতামকে সংযুক্তি বোতাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন- ‘শক্ত’ শব্দের ‘ক্ত’ বর্ণটি হচ্ছে ‘ক’ এবং ‘ত’ বর্ণের যুক্তরূপ। এজন্য ‘ক’ টাইপ করে  ্ (হসন্ত) বা G বোতামে চাপ দিয়ে ‘ত’ টাইপ করলে ‘ক্ত’ যুক্তাক্ষর তৈরি হয়ে যায়।

বিজয় কী-বোর্ড পরিচিতি ও ব্যবহার

বাংলা কী-বোর্ডের লে-আউটসহ প্রতিটি বর্ণমালার

কিন্তু কিছু যুক্তাক্ষর সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দেয়। কোন কোন বর্ণের সমন্বয়ে ঐ যুক্তার তৈরি হয় তা জানা নাও থাকতে পারে। যেমনঃ ডিস্ক, ঋষি, বাক্স, সূক্ষ্ম,  রাষ্ট্র, গ্রীষ্ম, মন্ত্র, স্বপ্ন, সম্ভ্রম, কম্প্লেইন, উল্কা, ভ্রু, ভ্রূ, ম্লান, লম্ফ, কম্বল, শুষ্ক, স্ক্রু, হৃদয়, অপরাহ্ণ, চিহ্ন, শুশ্রূষা, ভস্ম, অঞ্জন, বিজ্ঞান, বাঞ্ছনীয়, কৃষ্ণ, ব্রহ্মান্ড, আকাঙ্খা, মুগ্ধ, উৎকণ্ঠা, তেজস্ক্রিয়, চঞ্চল, শুদ্ধ, চট্টগ্রাম ইত্যাদি শব্দে ব্যবহৃত যুক্তাক্ষরগুলো।

বিজয় কীবোর্ড লেআউটে বাংলা লেখার কিছু নির্দেশনা

 কীবোর্ডে লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রতিটি কী তে দুটি করে বাংলা অক্ষর রয়েছে।আপনি যখন বাংলা টাইপ করবেন তখন নিচের অক্ষর গুলো লিখতে চাইলে সাধারণ প্রেসেই সেগুলো লিখবে। কিন্তু যখন উপরের অক্ষর গুলো লিখবেন তখন অবশ্যই আপনাকে Shift বাটন চেপে ধরে নিচের অক্ষর গুলো লিখতে হবে। এছাড়াও যখন কোন যুক্ত অক্ষর লিখার প্রয়োজন হবে তখন একটি অক্ষরের সাথে অন্য অক্ষর লিঙ্ক করতে অর্থাৎ যুক্ত করতে ‘G’ বাটন প্রেস করতে হবে। তাই ‘G’ বাটনটি হল লিঙ্ক বাটন যার মাধ্যমে যুক্ত অক্ষর গুলো লিখা যায়।

নিন্মে কিছু গুরুত্বপূর্ন যুক্ত বর্ণের তালিকা সমূহ দেয়া হল:

ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান, উত্থাপন)
ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর, সত্তর)
ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য)
ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা
ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর
ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়
ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত
ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র
ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ
ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী
ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য
ক্র = ক + র; যেমন- চক্র
ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি
ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পরীক্ষা
ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ
ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু
ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী
ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য
ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য
ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স
খ্র = খ+ র যেমন; যেমন- খ্রিস্টান
গ্ণ = গ + ণ; যেমন – রুগ্ণ
গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ
গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য
গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী
গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন
গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী
গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম
গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি
ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন
ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক
ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি
ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য
ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা
ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ
ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ
ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ
ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য
ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি
ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়
চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা
চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা
চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস
চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়
চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা
জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল
জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা
জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- বিজ্ঞান
ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চল
ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন- লাঞ্ছনা
ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন- কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন- ঝঞ্ঝা
ট্ট = ট + ট; যেমন- চট্টগ্রাম
ট্ম = ট + ম; যেমন- কুট্মল
ড্ড = ড + ড; যেমন- আড্ডা
ড্ব = ড + ব; যেমন- অন্ড্বান
ণ্ট = ণ + ট; যেমন- ঘণ্টা
ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন- কণ্ঠ
ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন- কণ্ঠ্য
ণ্ড = ণ + ড; যেমন- গণ্ডগোল
ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন- পাণ্ড্য
ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন- পুণ্ড্র
ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন- ষণ্ঢ
ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন- বিষণ্ণ
ণ্ব = ণ + ব; যেমন- স্হাণ্বীশ্বর
ণ্ম = ণ + ম; যেমন- চিণ্ময়
ত্ত = ত + ত; যেমন- উত্তর
ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন- সত্ত্ব
ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন- উত্ত্যক্ত
ত্থ = ত + থ; যেমন- অশ্বত্থ
ত্ন = ত + ন; যেমন- যত্ন
ত্ম = ত + ম; যেমন- আত্মা
ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন- দৌরাত্ম্য
ত্র = ত + র যেমন- ত্রিশ, ত্রাণ
থ্ব = থ + ব; যেমন- পৃথ্বী
দ্গ = দ + গ; যেমন- উদ্গম
দ্দ্ব = দ + দ + ব; যেমন- তদ্দ্বারা
দ্ধ = দ + ধ; যেমন- রুদ্ধ
দ্ব = দ + ব; যেমন- বিদ্বান
দ্ভ = দ + ভ; যেমন- অদ্ভুত
দ্ভ্র = দ + ভ + র; যেমন- উদ্ভ্রান্ত
দ্ম = দ + ম; যেমন- ছদ্ম
ধ্ন = ধ + ন; যেমন- অর্থগৃধ্নু
ধ্ব = ধ + ব; যেমন- ধ্বনি
ধ্ম = ধ + ম; যেমন- উদরাধ্মান
ন্ঠ = ন + ঠ; যেমন- লন্ঠন
ন্ত্ব = ন + ত + ব; যেমন- সান্ত্বনা
ন্ত্য = ন + ত + য; যেমন- অন্ত্য
ন্ত্র = ন + ত + র; যেমন- মন্ত্র
ন্ত্র্য = ন + ত + র + য; যেমন- স্বাতন্ত্র্য
ন্থ = ন + থ; যেমন- গ্রন্থ
ন্দ্ব = ন + দ + ব; যেমন- দ্বন্দ্ব
ন্দ্র = ন + দ + র; যেমন- কেন্দ্র
ন্ধ = ন + ধ; যেমন- অন্ধ
ম্প = ম + প; যেমন- কম্প
ম্প্র = ম + প + র; যেমন- সম্প্রতি
ম্ফ = ম + ফ; যেমন- লম্ফ
ম্ব = ম + ব; যেমন- প্রতিবিম্ব
ম্ভ = ম + ভ; যেমন- দম্ভ
ম্ভ্র = ম + ভ + র; যেমন- সম্ভ্রম
ম্ম = ম + ম; যেমন- সম্মান
ম্ল = ম + ল; যেমন- অম্ল
ষ্ণ= ষ + ণ; যেমন- কৃষ্ণ
হ্ম = হ + ম; যেমন- ব্রাহ্মান্ড

যুক্তাক্ষর মূলত উচ্চারনের উপর নির্ভর করে। যে যত ভাল উচ্চারন করতে পারবে সে তত ভাল যুক্তাক্ষর লিখতে পারবে।

Check Also

number-converter

Number converter – Decimal, hexadecimal, octal, binary

Number System বা সংখ্যা পদ্ধতি কে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। তবে Basically কোন সংখ্যা ...

One comment

  1. সবই ঠিক আছে তবুও রেফ (র্থ) লিখা যাচ্ছে না ।
    পি সি উইন্ডোজ 10,ওয়ার্ড 10, বিজয় 52

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *