অনলাইনে কেনাকাটা, সার্ভিস পেমেন্ট, এক্সাম ফিস প্রদান সহ যেকোনো প্রকার লেনদেন আপনার জন্য হবে একদম সহজ। এর জন্য গ্রাহককে কোন ধরণের মাসিক কিংবা বাৎসরিক ফি দিতে হয় না।
ভার্চুয়াল কার্ড- আপনি ব্যবহার করতে পারবেন বিশ্বের যেকোনো ওয়েবসাইটে, যেকোনো স্থান থেকে, এবং যেকোনো কারেন্সিতে। যেখানেই Master Card/ Visa Card Payments Accepted, সেখানেই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন ভার্চুয়াল কার্ড। কেনাকাটা করতে পারবেন Amazon, AliExpress, eBay, GoDaddy, Google Pay Store, Apple Store প্রভৃতি ওয়েবসাইট থেকে। পরিশোধ করতে পারবেন ACCA, GRE, SAT, GMAT, SEVIS I-20, CiMA প্রভৃতি ফি। বিদেশে হোটেল বুক করতে পারবেন ঘরে বসেই, Agoda.com, Hotels.com, Booking.com প্রভৃতি ওয়েবসাইট থেকে। কিনতে পারবেন অনলাইনে বিমানের টিকেট, AirAsia, Emirates, Etihad, AirIndia, BangkokAir প্রভৃতি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট থেকে। বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন Facebook, Google, Yahoo, Bing প্রভৃতি ওয়েবসাইটে।
এটি ভার্চুয়াল, তাই গতানুগতিক প্লাস্টিক কার্ডের চেয়ে বেশি নিরাপদ, কারণ এটি হারিয়ে যাবার ভয় নেই, এবং Disposable ও সুরক্ষিত। আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য নিরাপদ রাখতে ভার্চুয়াল কার্ড ব্যবহার করাই সবসময়ই অধিকতর নিরাপদ।

কার্ড সেটআপ করার পর আপনি পাবেন একটি International Virtual Debit Card (Prepaid), যেখানে আপনার ১৬ ডিজিটের কার্ড নাম্বার, ০৩ সংখ্যার CVV/CSC Code, এবং Expiry Details, যার মেয়াদ থাকবে ।
ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড আসলে কি?
ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড মূলত কোন প্লাস্টিক কার্ড না। এটি একটি আনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। বাংলাদেশে কিছু কোম্পানি আছে যারা এই সার্ভিসটি দিয়ে থাকে। আপনি যখন বিকাশ কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে তাদেরকে টাকা দিবেন তখন তারা অপনাকে একটি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড দিবে। তা দিয়ে আপনি প্রদানকৃত টাকার সমমূল্যের ডলার সবখানে ব্যবহার করতে পরবেন। ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড সার্ভিসটি সবচেয়ে দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ ।

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বাংলাদেশে এতটা জনপ্রিয় কেন?
ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড আসার পর সবচেয়ে বেশী সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার ও বিদেশগামী শিক্ষার্থীরা। কারন এই সাইটি প্রায় সব ধরনের লোকাল এবং ভার্চুয়াল কারেন্সি সার্পোট করে।
এটি জনপ্রিয়তা পাবার মূল কারণগুলো হল-
১)বিশ্বের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ওয়েব সাইটে কেনাকাটা করা যায়
২) গুগল, ফেসবুক ইত্যাদিতে বিঙ্গাপন দেয়া যায়
৩)বিভিন্ন ফি প্রদান করা যায়
৪)ইমিগ্রেশন ফি, ভিসার জন্য আবেদন করা যায়
ব্যাপারটি কেবল এখানেই শেষ নয় আরও কিছু এক্সট্রা সুবিধা পাবেন। যেমন-
১) ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন নেই
২) চেকে লেনদেন করতে হয়না
৩) টাকা হারানো বা চুরি যাবার ভয় নেই
৪) মাসিক বা বাৎসরিক ফি নেই
৫) রিফান্ড পাওয়া সুযোগ আছে।
৬) বিকাশ, রকেট, নগদ, লোকাল ব্যাংক অথবা অনলাইন ভার্চুয়াল ডলার ও দিয়ে কার্ড রি-লোড করার সুযোগ আছে।

এখন নিজে নিজেই অনলাইন পেমেন্ট করা যাবে। কারও কাছে গিয়ে বলতে হবে না যে
“ ভাই আপনার কাছে কি ডলার হবে”।
এয়ারটিএম ভার্চুয়াল কার্ডের সীমা এবং ফি-

আরও তথ্যের জন্য ভার্চুয়াল কার্ড FAQ দেখুন।
সম্পর্কিত পোস্ট সমূহ:-
১. কিভাবে AirTM একাউন্ট ভেরিফাইড করবেন?
২. কিভাবে AirTM মাধ্যমে Uphold থেকে বিকাশে টাকা উত্তোলন করবেন?
৩. কিভাবে ভার্চুয়াল ডেবিট কার্ড তৈরী করবেন ?