Home / অনলাইনে আয় / Fiverr টিপস | Fiverr বিক্রয় বৃদ্ধির উপায়

Fiverr টিপস | Fiverr বিক্রয় বৃদ্ধির উপায়

ফাইবার একটি সফল মার্কেট প্লেস। প্রতিদিন হাজার হাজার Buyers & Sellers এখানে বেচা কেনা করে থাকেন। এখান থেকে আয় করা সহজ। প্রতিদিন ই প্রায় কাজ পাওয়া যায়। প্রতিটি কাজ কে এরা গিগ GIG বলে থাকে। প্রতি গিগ 5$ থেকে শুরু হয়। ফ্রিলানসার বা ওডেক্সে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু এখানে কাজ পাওয়া অনেক সহজ, কারন এদের সিস্টেম অনেক সহজ।

অনেকসময়ই দেখা যায় নতুন যারা অনলাইন এ ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন তার কাজ পান না। তাদের জন্য Fiverr একটি ভালো সমাধান। আপনি Fiverr এ খুব সহজে কাজ পেতে পারেন । আবার নতুন রা বায়ার দের সাথে কিভাবে কন্টাক্ট করবে সেটা বুজতে পারে না। এর জন্য ফিভারার ভালো। কারন ফিভারার এ আপনাকে বায়ার এর সাথে স্কাইপে তে কথা বলা লাগবে না। শুধু মেসেজ এর মাধ্যমে কন্টাক্ট করতে হবে।

অনেকে বলতে পারেন মাত্র ৫ ডলার এ কি কাজ করব?

আসলে ৫ ডলার কে ৯০০ ডলার বানান কোন ব্যাপার না।

উদাহরন হিসাবে লোগো তৈরির  গিগ টা দেখেন।

এখানে রিভিউ 8343। মানে ফিডব্যাক। তাহলে কতবার গিগ তা সেল হয়েছে।

ধরুন, তার প্রতি সেল এ আয় হয়েছে ৪ ডলার । যদি ১ ডলার = ৮০ টাকা ।
তাহলে ৮৩৪৩ বার বিক্রয় থেকে সে আয় করেছে ৮৩৪৩*৮০*৪ = ২৬,৬৯,৭৬০ টাকা প্রায়।

আবার যে এটা সুধু ৫ ডলার এ সেল হয়েছে তা না। নিচে দেখুন এক্সট্রা গিগ যোগ করা আছে। ২ দিন এর মাঝে ডেলিভারি দেবার জন্য ২০ ডলার। মানে টোটাল ২৫ ডলার। এইভাবে একটা গিগ থেকে আপনার ইচ্ছা মত ডলার পেতে পারেন। তবে প্রথম ১০ তা গিগ সেল হবার পরেই আপনি এক্সট্রা গিগ যোগ করতে পারবেন। আবার Custom Offer এর মাধ্যমে আপনি ৫ থেকে ৯০০ডলার পর্যন্ত বায়ার এর কাছ থেকে দাবি করতে পারবেন।

কিভাবে Fiverr একাউন্ট খুলবেন?

Fiverr একাউন্ট তৈরী করার জন্য এ লিঙ্কে এ ক্লিক করুন।

http://www.fiverr.com/s2/9d13f0d100

এবার Join এ ক্লিক করুন। তাহলে এমন আসবে।

এখন আপনি ফেসবুক বা গুগল একাউন্ট দিয়ে সাইন আপ করতে পারেন, অথবা একটি একাউন্ট খুলে নিন। ইমেইল দিন, তার পর কনফরমেশন করুন। কাজ শেষ।

 

Fiverr Gig বিক্রয় বৃদ্ধির উপায়

ফাইবারে একই গিগ এর প্রতিদ্বন্দী অনেক। প্রতিদ্বন্দিতার মাঝেই আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে, তবে দরকার যথাযথ কৌষলের। গীগটিকে সাজিয়ে নিন সাবলীল, সংগতিপূর্ণ, আর কার্যকরী তিথ্য দিয়ে। আপনার গিগটিকে করতে হবে সবার চেয়ে আকর্ষণীয়। অনুসরন করতে পারেন নিচের পদ্ধতিগুলোঃ

১. টাইটেল কে যত সম্ভব আকর্ষণীয় করুন

বায়ার যেহেতু টাইটেল এর উপর দৃষ্টি রাখেন, তাই টাইটেল এ যথাসম্ভব গিগ এর কিওয়ার্ডগুলো লেখার চেষ্ট করুন। তাহলে বায়ার সহজে গিগটি বুঝতে পারবেন।

২. গিগ এর অফারের সাথে সংশ্লিস্ট ছবি/ভিডিও

আপনার গিগ সংশ্লিস্ট একাধিক ছবি/ভিডিও আপনার অফারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। একটি কার্যকরী ছবি/ভিডিও অনেক বর্ণনারে চেয়েও ভাল। সুতরাং অফারের সাথে যে ছবি/ভিডিও সংযুক্ত করবেন সেটি গুরুত্বের সাথে নির্বাচন করতে হবে।

৩. গিগ এর বিষয়বস্তুর যথাযথ বর্ণনা

আপনি যে গিগটি অফার করবেন এর সুন্দর/সাবলীল বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে বায়ার আপনার সার্ভিসটি কেনার ব্যপারে বেশি প্রাধান্য দিবেন। আপনার গিগের বর্ণনা তারাই পড়বে যারা আপনার টাইটেল এবং ছবি দেখে আগ্রহী হয়ে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করবে। সুতরাং বিবরণটি এমনভাবে লিখুন যেন বায়ার আপনার গিগ কেনার জন্য ইমপ্রেস হন।

৪. একই গিগ একাধিক স্টাইলে পুনরাবৃত্তি করুন

তারাতারি সম্পূর্ণ করা যায়, এরকম গিগ যদি ভাল বিক্রয় হচ্ছে দেখতে পান, তাহলে এ ধরনের আরও একাধিক গিগ একটু ভিন্ন আংঙ্গিকে তৈরী করতে পারেন। ফলে আপার ক্রিয়েটিভিটি দেখে ক্লায়েন্ট ইমপ্রেস হবে। উদাহরণস্বরূপঃ

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, অনেক ক্রেতা একই রকম গিগ বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে, তাই কি-ওয়ার্ড পরিবর্তন করে একই গিগের একাধিকবার পুনরাবৃ্ত্তি হতে পারে অধিক বিক্রয়ের অন্যতম মাধ্যম।

৫. পুনরায় বিক্রয়ের জন্য ক্রেতাকে বিশেষ অফার

আপনি একটি গিগ অফার করলেন, ৫ ডলারে ৫টি ফেইসবুক টিউন লিখে দিবেন, যখন আপনি কাজটি সম্পন্ন করলেন, তখন ক্রেতাকে অফার করতে পারেন ৬টি টিউন লিখে দিবেন ৫ ডলারে। এই আইডিয়া অন্য গিগ এর ক্ষেত্রেও অবলম্বন করতে পারেন।

১০০ ওয়ার্ডের একটি অনুচ্ছেদ বিক্রয় করলেন ৫ ডলারে, পরবর্তী অর্ডারের জন্য ক্রেতাকে ৫ ডলারে ১২০ ডলার অফার করতে পারেন। একইভাবে ৫টি ব্লগপোষ্ট টিউমেন্ট এর যায়গায় ৬টি করতে পারেন, ফলে ক্রেতা মুগ্ধ হয়ে বার বার আপনার গিগই ক্রয় করবে। এরকম বিশেষ অফারে আপনার আয়ের পরিধি বাড়বে, শুধু তাই নয়, সার্চ রেজাল্ট এ আপনার গিগ এর প্রাধান্য পাবে সবার আগে। এই কৌশল ব্যবহার করে একটি সাধারণ গিগ অধিক সংখ্যক বার বিক্রয় করতে পারেন।

৬. দ্রুত রেসপন্স ও কাস্টম অফার

উল্লেখ্য, ফাইবার গিগ এর সার্চ ফলাফলের র‌্যাংকিং করতে একটি জটিল পদ্ধতি ব্যবহার করে। এ পদ্ধতিতে বায়ারকে কে কত তারাতারি রেসপন্স করে এর উপর ভিত্তি করে র‌্যাংক দেয়া হয়। তাই বায়ারকে যত দ্রুত রেসপন্স করার চেষ্টা করুন। দ্রুত রেসপন্স করার পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় “কাস্টম অফার”। বায়ারকে কাস্টম অফার করার চেষ্টা করুন। আপনি যে গিগ টি ইতিমধ্যে বিক্রয় করেছেন, এ ধরনের আরেকটি গিগ এর অফার করতে পারেন বায়ারকে। উল্লেখ্য কাষ্টম অফার এ গিগ এর বর্ণনা, কত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন এবং বায়ার এর জন্য কত ডলার প্রদান করবে এসব তথ্য উল্লেখ করতে হবে।

৭. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গিগ শেয়ার

আপনার গিগ শেয়ার করুন যতটা সম্ভব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার গিগ শেয়ার করতে পারেন। হয়ত আপনার ফলোয়ারদের মধ্যে কারো এ ধরনের সার্ভিস প্রয়োজন হতে পারে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে ফাইবার সেই গিগগুলোই সার্চ রেজাল্ট এ প্রাধান্য দেয়, যারা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গিগ শেয়ার করে।
নেতিবাচক রিভিউ, লেট ডেলিভারি ও অর্ডার ক্যান্সেল এড়িয়ে চলুন

যদিও এটি একটি সাধারন ব্যাপার মনে হতে পারে, কিন্তু অবশ্যই আপনাকে নেতিবাচক রিভিউ, লেট ডেলিভারি ও অর্ডার ক্যান্সেল এড়িয়ে চলতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে ফাইবার সার্চ রেজাল্ট এ আপনার গিগ এর র‌্যাংক এবং সেলার লেভেল কমিয়ে দিবে।

বায়ারের সাথে স্বচ্ছ যোগাযোগের মাধ্যমে নেগেটিভ রিভিউ কমিয়ে আনতে পারেন। কাজ সম্পন্ন করার পূর্বে বায়ারকে অবশ্যই জানার কিছু বাকি থাকলে প্রশ্ন করে নিতে পারেন। কাজ ডেলিভারি দেয়ার সময় অবশ্যই ফাইভ স্টার রেটিং এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে গিগ এ বর্ণিত অফারের চাইতে একটু বেশি কাজ করার চেষ্টা করবেন।

 

যেকোন একটি শিখে কাজ শুরু করতে পরেন। আর একটি কথা কাজ পারলেই শুধু হবে এর জন্য কিছু ট্রিক্সও জানতে হবে। আপিনি খুবি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন লোক। কিন্তু আপনি জানেনা কিভাবে ক্লাইন্ট থেকে কাজ পাবেন।  প্রত্যেকটি ফাইবার এক্সপার্টরাই বিভিন্ন টেকনিকের মাধ্যমে কাজ সংগ্রহ করে থাকে। উপরে বৈশিষ্ট্যযুক্ত টিপস পাশাপাশি, আপনি আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য অন্যান্য কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।

 

Check Also

ডলার কেনা বেচা করুন বিকাশ দিয়ে

আমরা অনেকে আছি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এর মাধ্যমে Bitcoin/litecoin/BAT Token আয় করে থাকি। কিন্তু আমাদের এ ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *